, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চান্দিনায় নকল জুসের কারখানায় যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি; ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মালামাল জব্দ, আটক ২ চান্দিনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় ভেজাল পণ্য তৈরির কাঁচামাল ও মেশিন জব্দ কুমিল্লার চান্দিনা প্রেস ক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত । চান্দিনা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে চান্দিনা প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ফুটবল খেলা শেষে ফেরার পথে ট্রাক খাদে, স্কুলছাত্র নিহত চান্দিনার বরকইট ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড পিহর গ্রামে বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভা হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ চান্দিনার রামমোহনে দুই এনজিও কার্যালয়ে মধ্যরাতে লোমহর্ষক ডাকাতি ; পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ, অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট চান্দিনায় জুলাই অভ‍্যুত্থান দিবসে এলডিপি’র আনন্দ র‍্যালী

কুমেক হাসপাতালে মেডিকেল স্টাফদের আগাতে রোগীে স্বজন আহত,অভিযোগ দায়ের

  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ৭৭ পড়া হয়েছে

কুমেক হাসপাতালে মেডিকেল স্টাফদের আগাতে রোগীে স্বজন আহত,অভিযোগ দায়ের

এখন চান্দিনা।। নিউজ ডেস্ক।।

মোঃ জুয়েল রানা মজুমদার কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা মেডিকেলে রোগীর স্বজনদের উপর মেডিকেল স্টাফদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আহত ব্যক্তি হাবুল সরকার (৩২), দাউদকান্দি উপজেলার সফিউল্লাহ সরকারের পুত্র। বাবার চিকিৎসার জন্য গত ২৬ জুলাই শনিবার সকাল ৯টার দিকে সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে ডিউটি থাকা কালীন স্টাফের সাথে কথা কাটা কাটির একপর্যায়ে হাসপাতালে কর্মরত আনোয়ার হোসেন ও পলাশ ত্রিপুরার হাতে মারধরের শিকার হন তিনি।

আহত হাবুল সরকার জানান, আমি বাবাকে নিয়ে ভর্তি করাতে জরুরি বিভাগে যাই সেখানে ডিউটি অবস্হায় আনোয়ার ভাই ও পলাশ ত্রিপুরা ভর্তির তথ্য নিতে চাইলে আমি সব কিছু বলি। হঠাৎ করে তারা আমার সাথে দূর্ব্যবহার শুরু করে এবং ৫০ টাকা দাবী করে আমি টাকা দিতে অসীকৃতি জানালে তারা আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালি দিযে আমার উপর হামলা শুরু করে। তিনি আরো বলেন, আনোয়ার ভাই কাউন্টারের ভেতর থেকে বের হয়ে আমার গায়ে থাপ্পড় মারে এবং গেঞ্জির কলার ধরে টেনে নিয়ে যায়। এরপর কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং জরুরি বিভাগেই সেলাই দেওয়া হয়।
হাবুল আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পরে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয় যেন অভিযোগ না করেন বা সাংবাদিকদের না জানান, না হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। তিনি ভয়ে বাবার সঙ্গে হাসপাতালে উঠে যান। রাত ৮টার দিকে মাথার ব্যথা বেড়ে গেলে সাংবাদিকদের সহায়তায় তাকে পুনরায় ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ ঘণ্টা পর চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সমঝোতার চেষ্টা করছি।

  1. জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার মোঃ শাওন সরকার জানান শব্দ পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত কে সিকিৎসা দিয়েছি,সেলাই ও দেওয়া হয়েছে রোগীটি আমার পূর্ব পরিচিত তাই দুজনকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি । ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মাসুদ পারভেজকে ফোনে জানতে চাই তিনি বলেন আমার কাছ এখনো কোন অভিযোগ আসেনি , অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,
    উল্লেখ্য আহত হাবুল সরকার হাসপাতালে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন, এবং তিনি তার সুষ্ঠু বিচারের জন্য হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।এবং তদন্ত করে অভিযোক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
জনপ্রিয়

চান্দিনায় নকল জুসের কারখানায় যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি; ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মালামাল জব্দ, আটক ২

কুমেক হাসপাতালে মেডিকেল স্টাফদের আগাতে রোগীে স্বজন আহত,অভিযোগ দায়ের

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

কুমেক হাসপাতালে মেডিকেল স্টাফদের আগাতে রোগীে স্বজন আহত,অভিযোগ দায়ের

এখন চান্দিনা।। নিউজ ডেস্ক।।

মোঃ জুয়েল রানা মজুমদার কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা মেডিকেলে রোগীর স্বজনদের উপর মেডিকেল স্টাফদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আহত ব্যক্তি হাবুল সরকার (৩২), দাউদকান্দি উপজেলার সফিউল্লাহ সরকারের পুত্র। বাবার চিকিৎসার জন্য গত ২৬ জুলাই শনিবার সকাল ৯টার দিকে সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে ডিউটি থাকা কালীন স্টাফের সাথে কথা কাটা কাটির একপর্যায়ে হাসপাতালে কর্মরত আনোয়ার হোসেন ও পলাশ ত্রিপুরার হাতে মারধরের শিকার হন তিনি।

আহত হাবুল সরকার জানান, আমি বাবাকে নিয়ে ভর্তি করাতে জরুরি বিভাগে যাই সেখানে ডিউটি অবস্হায় আনোয়ার ভাই ও পলাশ ত্রিপুরা ভর্তির তথ্য নিতে চাইলে আমি সব কিছু বলি। হঠাৎ করে তারা আমার সাথে দূর্ব্যবহার শুরু করে এবং ৫০ টাকা দাবী করে আমি টাকা দিতে অসীকৃতি জানালে তারা আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালি দিযে আমার উপর হামলা শুরু করে। তিনি আরো বলেন, আনোয়ার ভাই কাউন্টারের ভেতর থেকে বের হয়ে আমার গায়ে থাপ্পড় মারে এবং গেঞ্জির কলার ধরে টেনে নিয়ে যায়। এরপর কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং জরুরি বিভাগেই সেলাই দেওয়া হয়।
হাবুল আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পরে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয় যেন অভিযোগ না করেন বা সাংবাদিকদের না জানান, না হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। তিনি ভয়ে বাবার সঙ্গে হাসপাতালে উঠে যান। রাত ৮টার দিকে মাথার ব্যথা বেড়ে গেলে সাংবাদিকদের সহায়তায় তাকে পুনরায় ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ ঘণ্টা পর চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সমঝোতার চেষ্টা করছি।

  1. জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার মোঃ শাওন সরকার জানান শব্দ পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত কে সিকিৎসা দিয়েছি,সেলাই ও দেওয়া হয়েছে রোগীটি আমার পূর্ব পরিচিত তাই দুজনকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি । ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মাসুদ পারভেজকে ফোনে জানতে চাই তিনি বলেন আমার কাছ এখনো কোন অভিযোগ আসেনি , অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,
    উল্লেখ্য আহত হাবুল সরকার হাসপাতালে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন, এবং তিনি তার সুষ্ঠু বিচারের জন্য হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।এবং তদন্ত করে অভিযোক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।