, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চান্দিনার রসুলপুর বাজারে বিএনপির পথসভা। চান্দিনায় এলডিপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ড. রেদোয়ান ১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস সংস্কার কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ, অর্থ লুট প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কমিশন আদায় চান্দিনায় যুবদল নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে কমিশন আদায়: কোটি টাকার বালু সিন্ডিকেট ছাত্র সংসদ নির্বাচন আর মাঠের রাজনীতি এক কথা নয় : রেদোয়ান আহমেদ চান্দিনায় পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস কর্মস্থলে অনুপস্থিত সাড়ে ৩ শ মিটার রিডার ও লাইন ম্যান; কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ চান্দিনায় মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জাকসু-২০২৫ নির্বাচনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে চান্দিনা নবাবপুরে অমিত কুমার বণিক সড়কের পাশে গাছগুলো যেন বিজ্ঞাপনের ‘ফ্রি হোর্ডিং বোর্ড‌; চান্দিনায় সাইনবোর্ড ঝুলানোর নামে গাছে গাছে নির্বিচারে মারা হচ্ছে পেরেক

১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস সংস্কার কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ, অর্থ লুট

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৯ পড়া হয়েছে

১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস
সংস্কার কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ, অর্থ লুট

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ শাসনামলে কুমিল্লার চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস লাগানোর কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই সংস্কারে কাজে অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির তিন কক্ষে লোহার ছয়টি করে দরজা ও জানালা এবং নিম্নমানের ১৩০০ বর্গফুট টাইলস লাগিয়ে অবশিষ্ঠ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের নানা সংস্কারের জন্য ২০ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। মেসার্স এম এনায়েত উল্লাহ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজটি পায়।

ওই বিদ্যালয়ের একটি ভবনের দুটি শ্রেণি কক্ষের চারটি দরজা ও ছয়টি জানালা, ছাদ সংস্কার এবং একটি অফিসকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও একটি নামাজের কক্ষের ১৩০০ বর্গফুট টাইলস লাগানো এবং নামমাত্র রঙের কাজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। তাতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে বরাদ্দের ২০ লাখ টাকা হজমের পাঁয়তারা করছে ঠিকাদার। অথচ ওই বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, দুটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি নামাজের কক্ষে লোহার সিঙ্গেল পার্টের ৬টি দরজায় ৩৫ হাজার টাকা, ৬টি জানালায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং একটি কক্ষের জানালায় সিট লাগানোর খরচ ১০ হাজার টাকা ধরলে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনটি কক্ষে ১৩০০ বর্গফুট ১৬/১৬ ইঞ্চি টাইলস লাগানোর খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি কক্ষ ও একটি ভবনের ছাদে সিলেকশন পাথর, বালু ও সিমেন্টে এক ইঞ্চিরও কম ঢালাই দেওয়ার খরচ ৫০ হাজার এবং নাম-মাত্র রঙের কাজসহ অন্যান্য কাজে আরও সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা হিসেব করলেও সর্বমোট ৪ লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়া কথা নয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র ভৌমিক জানান, বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ শুরু করার পর থেকে আমি ঠিকাদারকে শিডিউল দেখাতে বললে, তিনি আজও আমাকে শিডিউল দেখাননি। মেসার্স এম এনায়েত উল্লাহ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. এনায়েত উল্লাহ এনাম জানান, আমি খুব শিগগিরই প্রধান শিক্ষককে কাজের শিডিউল পাঠিয়ে দিব। কাজের মান খারাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, আরও কিছু রঙের কাজ বাকি আছে।
আর ঠিকাদারির কাজ তো, কিছু ১৯-২০ হবেই। এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী লক্ষণ সূত্রধর জানান, মূলত ওই টেন্ডারটি হয়েছে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে। বিদ্যালয়টির দুইটি কক্ষ, একটি নামাজের স্থান এবং ছাদের কিছু অংশের সংস্কার করার জন্য ইস্টিমেট করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই বিদ্যালয়টি সভাপতিও আমি, সেহেতু শিডিউল অনুযায়ী কাজের মান না দেখে আমি স্বাক্ষর করবো না।

জনপ্রিয়

চান্দিনার রসুলপুর বাজারে বিএনপির পথসভা।

১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস সংস্কার কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ, অর্থ লুট

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস
সংস্কার কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ, অর্থ লুট

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ শাসনামলে কুমিল্লার চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ দরজা-জানালা ও তিন কক্ষে টাইলস লাগানোর কাজে ২০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই সংস্কারে কাজে অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির তিন কক্ষে লোহার ছয়টি করে দরজা ও জানালা এবং নিম্নমানের ১৩০০ বর্গফুট টাইলস লাগিয়ে অবশিষ্ঠ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের নানা সংস্কারের জন্য ২০ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। মেসার্স এম এনায়েত উল্লাহ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজটি পায়।

ওই বিদ্যালয়ের একটি ভবনের দুটি শ্রেণি কক্ষের চারটি দরজা ও ছয়টি জানালা, ছাদ সংস্কার এবং একটি অফিসকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও একটি নামাজের কক্ষের ১৩০০ বর্গফুট টাইলস লাগানো এবং নামমাত্র রঙের কাজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। তাতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে বরাদ্দের ২০ লাখ টাকা হজমের পাঁয়তারা করছে ঠিকাদার। অথচ ওই বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, দুটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি নামাজের কক্ষে লোহার সিঙ্গেল পার্টের ৬টি দরজায় ৩৫ হাজার টাকা, ৬টি জানালায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং একটি কক্ষের জানালায় সিট লাগানোর খরচ ১০ হাজার টাকা ধরলে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনটি কক্ষে ১৩০০ বর্গফুট ১৬/১৬ ইঞ্চি টাইলস লাগানোর খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি কক্ষ ও একটি ভবনের ছাদে সিলেকশন পাথর, বালু ও সিমেন্টে এক ইঞ্চিরও কম ঢালাই দেওয়ার খরচ ৫০ হাজার এবং নাম-মাত্র রঙের কাজসহ অন্যান্য কাজে আরও সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা হিসেব করলেও সর্বমোট ৪ লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়া কথা নয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র ভৌমিক জানান, বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ শুরু করার পর থেকে আমি ঠিকাদারকে শিডিউল দেখাতে বললে, তিনি আজও আমাকে শিডিউল দেখাননি। মেসার্স এম এনায়েত উল্লাহ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. এনায়েত উল্লাহ এনাম জানান, আমি খুব শিগগিরই প্রধান শিক্ষককে কাজের শিডিউল পাঠিয়ে দিব। কাজের মান খারাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, আরও কিছু রঙের কাজ বাকি আছে।
আর ঠিকাদারির কাজ তো, কিছু ১৯-২০ হবেই। এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী লক্ষণ সূত্রধর জানান, মূলত ওই টেন্ডারটি হয়েছে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে। বিদ্যালয়টির দুইটি কক্ষ, একটি নামাজের স্থান এবং ছাদের কিছু অংশের সংস্কার করার জন্য ইস্টিমেট করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই বিদ্যালয়টি সভাপতিও আমি, সেহেতু শিডিউল অনুযায়ী কাজের মান না দেখে আমি স্বাক্ষর করবো না।