
রাতেই শুরু হচ্ছে পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, সুরক্ষায় কী করণীয় ?
এখন চান্দিনা।। নিউজ ডেস্ক।।
পূর্ণিমার চাঁদে গ্রহণ সচরাচর হয় না। বছরে মাত্র এক থেকে দু’বারই এ বিরল দৃশ্য দেখার সুযোগ পায় বিশ্বের মানুষ। মহাজাগতিক এ দুর্লভ দৃশ্য আজ চোখে দেখার সুযোগ ঘটবে বিশ্বের প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের।
রোববাব (৭ সেপ্টেম্বর) রাতেই একসঙ্গে শুরু হচ্ছে পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
রোববাব (৭ সেপ্টেম্বর) রাতেই একসঙ্গে শুরু হচ্ছে পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ যা পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর ভোর পর্যন্ত চলবে। গ্রহণটি ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট বাংলাদেশে স্থায়ী হবে। গ্রহণের পূর্ণ পর্যায় চাঁদ রক্তিম আভায় ঢাকা থাকবে। সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ চলবে রাত ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। দীর্ঘ ৮২ মিনিট বিশ্ববাসী রাতের আকাশে উপভোগ করতে পারবে ব্লাড মুনের মহাজাগতিক দৃশ্য।
পৃথিবীর বিরল এ মহাজাগতিক ঘটনা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র দুই দিক থেকেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের তিথিতে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
তাই আসুন জেনে নিই, বিশেষ এ তিথিতে জীবনের কুপ্রভাব কাটাতে সুরক্ষার জন্য করণীয় কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে-
১। চন্দ্রগ্রহণের সময় প্রকৃতিতে গ্রহণের ক্ষতিকর রশ্মি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই চেষ্টা করুন গ্রহণের সময় রাস্তা বা খোলা জায়গায় না থাকার।
২। চন্দ্রগ্রহণের সময় কখনই আকাশের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: রোববার রক্তলাল হয়ে উঠবে চাঁদ, কখন দেখবেন মহাজাগতিক মুহূর্ত?
৩। গ্রহণের সময় ক্ষতিকর রশ্মি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসও তৈরি হয়। তাই এ সময় খাবার রান্না থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব তৈরি খাবার ঢেকে রাখুন।
৪। গ্রহণ চলাকালীন ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হওয়ায় ভারী খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। নয়তো পেটের অসুখে ভুগতে পারেন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রগ্রহণ কেন হয়?
৫। গর্ভবতী মায়েরা এ সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। কিংবা ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হতে পারেন।
৬। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীতে ক্ষতিকর রশ্মি ও গ্যাসের কারণে পরিবেশ দূষিত থাকে। যে কারণে এর ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকে পড়তে পারে। তাই সম্ভব হলে গ্রহণ শেষে গোসল করে নিন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা বলছে, ক্ষতিকর রশ্মি বা গ্যাস থেকে বাঁচতে খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই নাসা ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মেনে চলুন প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা। মনে রাখবেন, সতর্কতা মেনে চলায় কোনো ক্ষতি নেই, বরং তাতে লুকিয়ে রয়েছে সুরক্ষার চাবি।