
জুলাই শহীদ তায়িম এর স্বপ্ন ভঙ্গের এক বছর সেনা অফিসার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল তায়িম স্মরণ সভা ও মায়া অনুষ্ঠান
এখন চান্দিনা।।নিউজ ডেস্ক।।
পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান ইমাম হাসান তায়িম ভূইয়া। ছোট বেলা থেকেই টেলিভিশনে সেনা বাহিনীর পোশাক পড়া সেনা কর্মকর্তাদের দেখে উৎসাহ পেত তায়িম। যখন এসএসসি পাশ করে তখনও সেই ছোট বেলার মতো বলে উঠে আমি সেনা অফিসার হবো।
শহীদ ইমাম হাসান তায়িম ভূইয়া’র শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর বড় ভাই রবিউল আওয়াল ভূইয়া’র এমন আবেগঘন স্মৃতিচারণে ভারী হয়ে উঠে পুরো সভাকক্ষ। শহীদ তায়িম কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের ভূইয়া বাড়ির পুলিশ কর্মকর্তা ময়নাল হোসেন এর ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তায়িম। পিতা রাজধানীর রাজারবাগে উপ-পরিদর্শক পদে চাকুরীর সুবাদে পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করতো। ২০২৪ সালের ২০ জুলাই কোটা আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির কাজলা পদচারী সেতুর কাছে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তায়িম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তায়িমকে
পরিবারের সদস্যরাও উৎসাহ দিতো। কলেজে পড়া অবস্থায় তার চোখে মুখে একটাই স্বপ্ন ছিল, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর অফিসার পদে চাকুরী নিবে। বিধিবাম! কেন জানতো, স্বপ্নে বিভোর থাকা তায়িম এর ঘুম যে আর কখনও ভাঙ্গবে না। পুলিশ পিতার সহকর্মীদের ছোড়া বৃষ্টির
মতো গুলিতে তার বুক ঝাজড়া করে যে বের করে নিব জমে থাকা স্বপ্ন। এমন দুর্বিসহ স্মৃতিচারণে ভারি হয়ে উঠে জুলাই শহীদ তায়িম এর প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা। রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই ….৩য় পাতায় দেখুন
জুলাই শহীদ তায়িম এর স্বপ্ন:
যে বন্ধু পিছন থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই বন্ধু রাহাত হোসেনও ছুটে আসেন তায়িম এর শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনায়। নিজের চোখের সামনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো তায়িম এর স্মৃতিচারণ করে বলেন- সেদিন আমি আর তায়িম এক সাথেই ছিলাম। আমাদেরকে একটি চা দোকান থেকে বের করে দিয়ে ধাওয়া করে পুলিশ। শুরু করে এলোপাথারী গুলি। প্রথম গুলিটি তায়িম এর পায়ে লাগে। সে কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছন থেকে আরও একটি গুলি ঢুকে বুক দিয়ে বের হয়ে যায়। সাথে সাথে বৃষ্টির মতো গুলি পড়তে থাকে তায়িম এর সারা
শরীরে। তখন আমি তাকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে টেনে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। কখন যে আমার পায়ে গুলি লাগে তাও টের পাইনি। এমন নিষ্ঠুরভাবে একজনের উপর এতোগুলো গুলি ছুড়ে। সেদিন তায়িম এর মতো আমারও মৃত্যু ঘটতে পারতো। এতো কাছে থেকে বন্ধুকে হারানোর বেদনা কতটা কষ্টের বুঝাতে পারবো না। চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল হক এর সভাপতিত্বে শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন-চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূর।