, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চান্দিনায় নকল জুসের কারখানায় যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি; ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মালামাল জব্দ, আটক ২ চান্দিনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় ভেজাল পণ্য তৈরির কাঁচামাল ও মেশিন জব্দ কুমিল্লার চান্দিনা প্রেস ক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত । চান্দিনা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে চান্দিনা প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ফুটবল খেলা শেষে ফেরার পথে ট্রাক খাদে, স্কুলছাত্র নিহত চান্দিনার বরকইট ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড পিহর গ্রামে বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভা হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ চান্দিনার রামমোহনে দুই এনজিও কার্যালয়ে মধ্যরাতে লোমহর্ষক ডাকাতি ; পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ, অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট চান্দিনায় জুলাই অভ‍্যুত্থান দিবসে এলডিপি’র আনন্দ র‍্যালী

জমির হালনাগাদ রেকর্ড বিডিএস শুরু হয়েছে, রেকর্ডে ভুল হলে যা হবে।

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • ৮১ পড়া হয়েছে

জমির হালনাগাদ রেকর্ড বিডিএস শুরু হয়েছে, রেকর্ডে ভুল হলে যা হবে।

এখন চান্দিনা।।অনলাইন ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫,শনিবার

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পিএম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রামাণিক বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) সম্পর্কিত জরিপ প্রক্রিয়া ও ভূমি রেকর্ড সংশোধনে ভূমি মালিকদের জন্য পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে জরিপে ভূমি মালিকদের অসচেতনতা ও প্রস্তুতির অভাবে অনেক সময় জমির রেকর্ড সঠিক মালিকের নামে না হয়ে অন্য ব্যক্তির নামে হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যা এড়াতে ভূমি মালিকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সিরাজ প্রামাণিক পাঁচটি করণীয় বিষয় উল্লেখ করেন:

১. মালিকানার প্রমাণাদি প্রস্তুত রাখা: জমির দলিলপত্র, নামজারি খতিয়ান, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা ইত্যাদি নিশ্চিতভাবে সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে জরিপকারীদের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা যায়।

২. জমির সীমানা নির্ধারণ ও চিহ্নিতকরণ: জমির বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে জমির আইল সোজা রাখা, সীমানা পিলার বসানো ও যথাযথ নকশা প্রস্তুত রাখা জরুরি, যাতে মাঠ পর্যায়ে জরিপকারীরা সহজে সীমানা চিহ্নিত করতে পারেন।

৩. খানপুরি পর্চা গ্রহণ ও যাচাইকরণ: জরিপ দল জমি পরিদর্শন শেষে জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান, মালিকের নাম, ঠিকানা, দলিল নম্বর ইত্যাদি বিবরণ সংবলিত খানপুরি বা মাঠ পর্যায়ের পর্চা তৈরি করে এবং তা মালিককে বুঝিয়ে দেয়।

৪. তথ্য ও দলিল পর্যালোচনা: সকল তথ্য খতিয়ে দেখে ভুল বা বিভ্রান্তি যেমন দাগ বিভাজন, নাম বা ঠিকানায় ভুল থাকলে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে ৩০ দিনের মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।

৫. সংশোধনের আবেদন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধনের আবেদন না করলে রেকর্ড চূড়ান্ত হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য দেওয়ানী আদালতের সাহায্য নিতে হবে।

সিরাজ প্রামাণিক ভূমি মালিকদের এসব নির্দেশনা মেনে সচেতন ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান যাতে তারা তাদের সম্পত্তির সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করতে পারেন।

 

জনপ্রিয়

চান্দিনায় নকল জুসের কারখানায় যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি; ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মালামাল জব্দ, আটক ২

জমির হালনাগাদ রেকর্ড বিডিএস শুরু হয়েছে, রেকর্ডে ভুল হলে যা হবে।

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

জমির হালনাগাদ রেকর্ড বিডিএস শুরু হয়েছে, রেকর্ডে ভুল হলে যা হবে।

এখন চান্দিনা।।অনলাইন ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫,শনিবার

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পিএম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রামাণিক বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) সম্পর্কিত জরিপ প্রক্রিয়া ও ভূমি রেকর্ড সংশোধনে ভূমি মালিকদের জন্য পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে জরিপে ভূমি মালিকদের অসচেতনতা ও প্রস্তুতির অভাবে অনেক সময় জমির রেকর্ড সঠিক মালিকের নামে না হয়ে অন্য ব্যক্তির নামে হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যা এড়াতে ভূমি মালিকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সিরাজ প্রামাণিক পাঁচটি করণীয় বিষয় উল্লেখ করেন:

১. মালিকানার প্রমাণাদি প্রস্তুত রাখা: জমির দলিলপত্র, নামজারি খতিয়ান, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা ইত্যাদি নিশ্চিতভাবে সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে জরিপকারীদের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা যায়।

২. জমির সীমানা নির্ধারণ ও চিহ্নিতকরণ: জমির বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে জমির আইল সোজা রাখা, সীমানা পিলার বসানো ও যথাযথ নকশা প্রস্তুত রাখা জরুরি, যাতে মাঠ পর্যায়ে জরিপকারীরা সহজে সীমানা চিহ্নিত করতে পারেন।

৩. খানপুরি পর্চা গ্রহণ ও যাচাইকরণ: জরিপ দল জমি পরিদর্শন শেষে জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান, মালিকের নাম, ঠিকানা, দলিল নম্বর ইত্যাদি বিবরণ সংবলিত খানপুরি বা মাঠ পর্যায়ের পর্চা তৈরি করে এবং তা মালিককে বুঝিয়ে দেয়।

৪. তথ্য ও দলিল পর্যালোচনা: সকল তথ্য খতিয়ে দেখে ভুল বা বিভ্রান্তি যেমন দাগ বিভাজন, নাম বা ঠিকানায় ভুল থাকলে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে ৩০ দিনের মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।

৫. সংশোধনের আবেদন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধনের আবেদন না করলে রেকর্ড চূড়ান্ত হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য দেওয়ানী আদালতের সাহায্য নিতে হবে।

সিরাজ প্রামাণিক ভূমি মালিকদের এসব নির্দেশনা মেনে সচেতন ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান যাতে তারা তাদের সম্পত্তির সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করতে পারেন।